ঢাকা, সোমবার ২২, ডিসেম্বর ২০২৫ ২১:৫২:৪০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
নিরাপত্তা, অস্ত্রের লাইসেন্স চেয়ে আবেদন ১৫ রাজনীতিবিদের ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচার শুরু আজ আগামী বাজেটের রূপরেখা দিয়ে যাবে অন্তর্বর্তী সরকার গণভোট নিয়ে নানা শঙ্কা পশ্চিম তীরে নতুন ১৯টি বসতি স্থাপনের অনুমোদন দিল ইসরায়েল

ঢাবির প্রশ্নফাঁসে ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা  

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ১০:২১ পিএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি চাকরির প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ৭৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। 

আজ বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর জামান আনসারী এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৩০ জুলাই পরোয়ানা জারির প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে গত ২৩ জুন (রোববার) ঢাবির ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের নামে প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় চার্জশিট দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৬ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য ছিলো।

অভিযোগপত্রের বক্তব্য অনুযায়ী, আসামিদের মধ্যে অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসামি হলেন- হাফিজুর রহমান, ইব্রাহীম, মোস্তফা কামাল ও আইয়ুব আলী বাঁধন। তারাই প্রশ্নফাঁসের মূল হোতা। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনেও উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা করেছে সিআইডি।

অভিযোগপত্রে অপর আসামিরা হলেন- রিমন হোসেন, তাজুল ওরফে মুকুল, রাকিবুল হাসান এছামী, খান বাহাদুর, সাইফুল ইসলাম, সজীব ইসলাম, বনি ইসরাইল, আশরাফুল ইসলাম আরিফ, মারুফ হাসান। ডিজিটাল ডিভাইস জালিয়াত চক্রের হোতা বিকেএসপির বরখাস্ত হওয়া ক্রীড়া কর্মকর্তা অলিপ কুমার বিশ্বাস, ৩৮তম বিসিএস এ নন-ক্যাডারের সুপারিশপ্রাপ্ত ইব্রাহীম মোল্যা, হাফিজুর রহমান হাফিজ, মাসুদুর রহমান তাজুল, বিএডিসির সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ও আইয়ুব আলী বাঁধন। আরও আছেন মহিউদ্দিন রানা, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইশরাক হোসেন রাফি, ফারজাদ সোবহান নাফি, আনিন চৌধুরী, নাভিদ আনজুম তনয়, এনামুল হক আকাশ, নাহিদ ইফতেখার, রিফাত হোসেন, বায়েজিদ, ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, তানভি আহম্মেদ, প্রসেনজিৎ দাস, আজিজুল হাকিম, তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান, রাফসান করিম, আখিনুর রহমান অনিক, কদমতলীর দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাহাত ইসলাম, জাহিদ হোসেন, হাজারীবাগ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আবির ইসলাম নোমান, সুজন, তিতুমীর সরকারি কলেজের অনার্সের ছাত্র আল আমিন, সুফল রায় ওরফে শাওন, সাইদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ ও শেরপুর সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহাদাত হোসেন।

২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’টি আবাসিক হলে সিআইডি অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেফতার হয় রাফি নামে ভর্তিচ্ছু একজন শিক্ষার্থী। ওইদিন শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় মামলা করেন সিআইডি। এ মামলাটিতে ৪৭ জনকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি তাদের মধ্যে থেকে ফৌজদারি কাযবিধির ১৬৪ ধারা মতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেরেন।

মামলাটিতে দু’টি ধারায় ৪টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন তদন্তকার্রী কর্মকর্তা। ধারা দু’টি হল ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারা।

মামলাটিতে ১৮ বছরের নিচে হাজারীবাগ শেখ রাসেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আবির ইসলাম নোমান আসামি থাকায় তার বিচার হবে শিশু আদালতে। তাই তাদের বিরুদ্ধে আলাদা দু’টি অভিযোগপত্র দাখিল করেছে তদন্ত কর্মকর্তা। গ্রেফতার হওয়া সব আসামি জামিনে রয়েছেন।